আজ ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্যামলী আইডিয়াল মেডিকেল ইনষ্টিটিউটে প্রাক্তন শির্ক্ষাথীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান


তৌহিদুল ইসলাম : আড্ডা, গান ও স্মৃতিচারণায় সবাই ফিরে গিয়েছিলেন ফেলে আসা সোনালী দিনে। কলেজ জীবনের শিক্ষক ও সতীর্থদের কাছে পেয়ে জড়িয়েছেন আলিঙ্গনে।
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্যামলী আইডিয়াল মেডিকেল ইনষ্টিটিউট প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের দিনটি পার করেছেন এভাবেই। রবিবার (২০ নভেম্বর) নগরীর একটি অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে এই পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি প্রদর্শন করা হয়। এসব ছবির সামনে সাবেক শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সেদিন ছবি তুলেছিলেন, আড্ডায় মেতেছিলেন।
এই দিন সকাল ১০টায় পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ আশুতোষ চক্রবর্তী। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এসময় সবাই দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান জানান।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী অধ্যক্ষ আশুতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমান যুগে কারিগরী শিক্ষা ও জ্ঞান ছাড়া জাতি ও দেশ অচল ।একারণে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মেডিকেল টেকনোলজীতে কারিগরী শিক্ষার প্রয়োগ করতে শ্যামলী আইডিয়াল মেডিকেল ইনষ্টিটিউট এর বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স চালু রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সারাদেশে অবদান রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে বলে আমি আশাবাদী।’
এরপর শুরু হয় স্মৃতিচারণ পর্ব। বক্তব্য দেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মো ইমরান হোসেন,টুটুল রায় চৌধুরী এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রিয়া দাশ,
প্রাক্তন ছাত্র ডা: রাশেল দাশ গুপ্ত বলেন, শ্যামলী আইডিয়াল মেডিকেল ইনষ্টিটিউট এটি বাংলাদেশের সকল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে ২০১০ সালে যখন ৩ বছর ডিপ্লোমা চালু হয়, তখন আমি ভর্তি হয়। দীর্ঘ ৩ বৎসর এখানকার শিক্ষক শিক্ষিকা আমাদেরকে হাতে কলমে শিক্ষদান করেন, আমাদের সময়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের ভালোবাসা পেয়েছি।২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি এই ইনষ্টিটিউতে ডেন্টাল টেকনোলজীতে শিক্ষা অর্জন করে বের হয়েছি। পরে আমি বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে বিডিএস পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করি।
স্মৃতিচারণা শেষে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর প্রায় ৫০ জন প্রাক্তনী ও বর্তমান শিক্ষার্থী যোগ দেন কৌতুক পরিবেশন, কুইজ প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ ও গল্প বলা, ইনষ্টিটিউটের বন্ধুদের পরিবেশনায় গানের অনুষ্ঠানে। সন্ধ্যায় অতিথি শিল্পীদের সঙ্গে গানে গলা মিলিয়ে সবাই ফিরে যান ফেলে আসা দিনগুলোর কাছে। পুনর্মিলন অনুষ্ঠান উদযাপন প্রচার উপ-কমিটির সদস্য সচিব রাজিব দে, চাটঁগার সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তৌহিদুল ইসলাম কে জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের বিভাগীয় প্রধান বাবু চন্দন কুমার শীল, শিক্ষিকা মিসেস প্রিয়াংকা চৌধুরী ও নাছিমা আক্তার, শিক্ষক শকুন বড়ুয়া , মাহবুবুল আলম, গোলাম হায়দার ও তৌহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উমায়া মারমা,সানিয়া দেব,মামুন তালুকদার, টুটুল রায় চৌধুরী,ইমরান হোসেন, তানবিরুল হক সিকদার, প্রমুখ। র‌্যাফেল ড্র-তে শেষ হয় এই আয়োজন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর